ইতিহাস বিকৃতি, না নিরাপত্তার অজুহাত? ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনের পুতিনের যুক্তি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কেন ইউক্রেনে হামলা চালালেন? ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল থেকে ২০২২ সালের পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে নামা—সব কিছু ব্যাখ্যা করা হলো সহজ ভাষায়।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে  রাশিয়া: পুতিন

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালে ইউক্রেনে যুদ্ধে নেমেছিলেন একাধিক অভিযোগ ও কারণ দেখিয়ে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে ছিল ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এবং ইউক্রেনকে পশ্চিমা প্রভাব থেকে দূরে রাখার কৌশল। ২০১৪ সালেই ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয় রাশিয়া। তখন ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দিয়ে এক প্রো-পশ্চিম সরকার ক্ষমতায় আসে। সেটাই পুতিনের চোখে 'বিপদ' হিসেবে ধরা পড়ে।

Putin

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর কিছুদিন আগে পুতিন ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানান, যেন তারা ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেয় এবং দেশের নেতৃত্বে থাকা "মাদকাসক্ত ও নাৎসি গ্যাং"দের সরিয়ে দেয়। পাশাপাশি তিনি ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন, যে তারা ইউক্রেনের ভিতরে ঘাঁটি গড়ার চেষ্টা করছে, যাতে রাশিয়ার সীমান্তের একেবারে কাছে পশ্চিমা বাহিনী মোতায়েন করা যায়।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ইতিহাস বিকৃত করে পুতিন যুদ্ধের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন, এবং ইউক্রেনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছেন।