নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিকে গাজার বহু নাগরিক যেমন ইজরায়েল সেনাদের হাতে বন্দি রয়েছেন। তেমনি ইজরায়েলের বহু নাগরিক হামাসের হাতে বন্দি। ঘটনার কয়ের মাস কেটে গেলেও বেশির ভাগ বন্দি নিজেদের প্রিয়জনদের কাছে ফিরতে পারেনি। হামাস ও ইজরায়েলের বন্দি হস্তান্তরের বিষয়ে মধ্যস্থতা করছিল আমেরিকা, মিশর, কাতার। এই প্রসঙ্গে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, রবিবার বন্দি হস্তান্তরের বিষয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকটি গঠনমূলক হলেও বেশ কিছু মত পার্থক্য রয়ে গিয়েছে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, আলোচনাটি ইউরোপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আলোচনাতে বেশ কিছু ফাঁক রয়ে গিয়েছে। সামনের সপ্তাহে এই বিষয়ে আরও একটি আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, ইজরায়েল অভিযোগ করেছে, মিশর গাজায় ত্রাণ বিতরণে ইজরায়েলকে বার বার বাধা দিয়েছে। ইজরায়েলের বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কাতারের ভূমিকা নিয়েও ইজরায়েল প্রশ্ন তুলেছে। ইজরায়েল আরও বলেছে যে তারা জর্ডানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী জল চুক্তি পুনর্নবীকরণ করবে না। কারণ ইজরায়েলের গাজা অভিযানের সমালোচনা জর্ডন করেছে। অন্যদিকে, নিজের দেশে তীব্র চাপের মুখে পড়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর পদত্যাগ দাবি করে ইজরায়েলে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখান। ইজরায়েলের পুলিশ তেল আবিবের কাছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। বিক্ষোভকারীরা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ ও ইজরায়েলে আগাম নির্বাচনের দাবি করেন। ইজরায়েলের জেরুজালেম, হাইফা, সিজারিয়া, কেফার সাভা, রেহোভট এবং বের্শেবা অঞ্চলে বহু মানুষ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখান।
অন্যদিকে, ইজরায়েলের চাপ আরও বাড়িয়ে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান আলেকজান্দ্রা সায়েহ বলেছেন, গাজায় ব্যাপক হারে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে।