নিজস্ব প্রতিবেদন : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বাংলাদেশে উপকূলীয় এলাকা ও বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে এবং আকাশ অন্ধকারাচ্ছন্ন রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে ১৪টি উপকূলীয় জেলায় জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘অ্যালার্ট ওয়ান’ জারি করেছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি মনিটর করছে। এ কারণে বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে এবং প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। উপকূলের নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের জল বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধে নতুন ভাঙন দেখা দিয়েছে।
মোংলা উপজেলা প্রশাসন ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে এবং ১,৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। মেডিকেল টিম ও ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং শুকনা খাবার, ওষুধ ও বিশুদ্ধ জল মজুদ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করার সময় বাংলাদেশে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরগুনা, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।