নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ওয়াশিংটন ডিসির রোনাল্ড রিগ্যান বিল্ডিংয়ে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে মোদী বলেন, "আমেরিকায় 'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর এত সুন্দর ছবি দেখানোর জন্য আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমেরিকায় আমি যে পরিমাণ ভালবাসা পাচ্ছি তা চমৎকার, সমস্ত কৃতিত্ব এই দেশের জনগণের। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আমি গত তিন দিনে অনেক আলোচনা করেছি। আমি বলতে পারি, বাইডেন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি সবসময় ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।"
তিনি আরও বলেন, "এই তিন দিনে ভারত ও মার্কিন সম্পর্কের এক নতুন ও গৌরবময় যাত্রা শুরু হয়েছে। এই নতুন যাত্রাটি বৈশ্বিক কৌশলগত ইস্যুগুলোতে আমাদের একত্রিতকরণ, মেক ইন ইন্ডিয়া মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের জন্য আমাদের সহযোগিতার। প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং উৎপাদন সহযোগিতা বা শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলে সমন্বয় বৃদ্ধি, উভয় দেশই উন্নত ভবিষ্যতের দিকে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিচ্ছে। জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানির ভারতে যুদ্ধবিমান তৈরির সিদ্ধান্ত ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য একটি মাইলফলক হিসাবে প্রমাণিত হবে। আমরা একসঙ্গে শুধু নীতি ও চুক্তিই তৈরি করছি না, আমরা জীবন, স্বপ্ন ও ভাগ্য গঠন করছি।"
তিনি বলেন, "বেঙ্গালুরু ও আহমেদাবাদে আমেরিকার নতুন কনস্যুলেট খোলা হবে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এইচ১বি ভিসা পুনর্নবীকরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই করা যেতে পারে।"
This is the best time to invest as much as possible in India. The research centre of Google's AI in India will work on more than 100 languages. With the help of the Indian Govt, Tamil Studies chair will be established here at University of Houston: PM Modi addressing the Indian… pic.twitter.com/stbqnyc4Bt
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা ভারতের প্রতিটি অর্জনে আনন্দিত হন, গর্ববোধ করেন যে বিশ্বের এত বিপুল সংখ্যক দেশ যোগ দিবসের জন্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একত্রিত হয়েছে। আপনারা যখন এখানকার সুপারমার্কেটগুলোতে মেড ইন ইন্ডিয়া দেখেন তখন গর্ববোধ করেন। আপনারা গর্ববোধ করেন যখন সারা বিশ্ব 'নাটু নাটু' এর সুরে নাচে।"
তিনি বলেন, 'ভারতের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতির পিছনে কারণ হল দেশের ১৪০ কোটি মানুষের বিশ্বাস। মোদি একা কিছু করেনি। শত শত বছরের ঔপনিবেশিকতা আমাদের কাছ থেকে এই বিশ্বাস কেড়ে নিয়েছিল।'
মোদী আরও বলেন, "ভারত গণতন্ত্রের জননী এবং আমেরিকা উন্নত গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন। আজ, বিশ্ব এই দুটি মহান গণতন্ত্রের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হতে দেখছে। আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং রফতানি গন্তব্য কিন্তু আমাদের অংশীদারিত্বের প্রকৃত সম্ভাবনা এখনও বেরিয়ে আসেনি। ভারতে যতটা সম্ভব বিনিয়োগ করার এটাই সেরা সময়। ভারতে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা কেন্দ্রটি ১০০টিরও বেশি ভাষায় কাজ করবে। ভারত সরকারের সহায়তায় হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে তামিল স্টাডিজ চেয়ার স্থাপন করা হবে।"
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'আমি আনন্দিত যে আমেরিকা সরকার আমাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া ভারতের ১০০টিরও বেশি পুরাকীর্তি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পুরাকীর্তিগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছেছিল। এজন্য আমি মার্কিন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।"