নিজস্ব সংবাদদাতা: তুরস্কে তিন পাকিস্তানি আশ্রয়প্রার্থী একজন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণ করেছেন এবং তাঁর মুক্তির জন্য ভারতে তাঁর পরিবারের কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন।
মে মাসের শুরুতে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাটি একমাত্র ঘটনা নয়। কম্বোডিয়ায় এক পাকিস্তানি দম্পতি দুই ভারতীয়কে তিন সপ্তাহ ধরে বন্দি করে রেখেছি। ভারতীয়দের পরিবারের কাছে তাঁরা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।
তুরস্ক ও কম্বোডিয়ায় মুক্তিপণের জন্য অপহরণের দুটি ঘটনায় জড়িত পাকিস্তানিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খামা নিউজ পোর্টাল জানিয়েছে, রবিবার (২০ মে) তুরস্কের পুলিশ জানিয়েছে, তারা এডিরনে শহরে একজন ভারতীয় নাগরিককে অপহরণের অভিযোগে তিন পাকিস্তানিকে গ্রেপ্তার করেছে। রাধাকৃষ্ণণকে পাকিস্তানিরা অপহরণ করেছিল, যিনি ইস্তাম্বুলের একটি রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। পাকিস্তানিরা রাধাকৃষ্ণনকে চাকরির প্রস্তাব দিয়ে পশ্চিমের শহর এড্রিনে নিয়ে যান এবং তাঁকে অপহরণ করেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, অপহরণকারীরা তাঁর হাত-পা বেঁধে একটি ভিডিও করে। সেই ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠানোর হুমকি দেন। অপহরণকারীরা ভারতে থাকা রাধাকৃষ্ণানের পরিবারের কাছে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। পুলিশ তাদের অভিযানে পাকিস্তানি অপহরণকারীদের কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার করেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানিরা কম্বোডিয়ায় ২৫ এপ্রিল মোহাম্মদ সাদ এবং সুদিত কুমারকে অপহরণ করে এবং ১৬ মে পুলিশ তাঁদের মুক্ত করে। যাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল, তাঁদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল। এমনকী মারধর করা হয়েছিল।
দ্য খামার টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তানি নাগরিক সাবতাইন বিন নাসির এবং সাইদ আলি হুসেন ভারতীয়দের ২৩মে লোভ দেখায় ভারতীয় রেস্তোরাঁ খোলার জন্য একটি জমি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশকে জানিয়েছে,পাকিস্তানি সন্দেহভাজনরা তাঁদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। অপহরণকারীরা সাদ ও সুদিতের পাসপোর্টও কেড়ে নেয়।