নিজস্ব সংবাদদাতা: ওশানগেট নামে একটি সংস্থার সাবমেরিনে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন ৫ জন যাত্রী। কিন্তু সমুদ্রের তলদেশে সাবমেরিনটি ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে টাইটানিক জাহাজ দেখতে গিয়ে মৃত্যু হয় ৫ জন যাত্রীর। এই ঘটনার প্রায় ১০ দিনের মাথায় ফের টাইটানিক দেখতে যাওয়ার বিজ্ঞাপন দিল ওশানগেট।
সম্প্রতি সংস্থাটির ওয়েবসাইটে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়ার একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপন অনুসারে, আগামী বছর ১২ জুন থেকে ২০ জুন এবং ২১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত টাইটানিকের দুটি ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে সংস্থার তরফে। এর জন্য খরচ পড়বে ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার। এই প্যাকেজের মধ্যে দেওয়া হবে খাবার ও বাসস্থান পরিষেবা, অর্থাৎ যারা টাইটানিক ভ্রমণে যাবেন, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার ও থাকার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং অভিযানের সরঞ্জাম।
সংস্থাটি জানিয়েছে, অভিযান শুরুর প্রথম দিনে যাত্রীরা সেন্ট জোন্স শহরে পৌঁছবেন এবং সেখানে তাঁরা সাবমেরিনের ক্রু মেম্বরদের সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর সংস্থার সাবমেরিনে করে যাত্রীদের টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে। সমুদ্রের তলদেশে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার যাত্রা করার পরেই দেখা মিলবে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের।
ওশানগেট কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ফরাসি ডাইভিং বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নারজিওলেট এবং পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর ছেলে সুলেমন মারা যাওয়ার পরে সংস্থাটি টাইটানিক অভিযান "অনির্দিষ্টকালের জন্য" বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার মাত্র ১০ দিনের মাথায় ফের বিজ্ঞাপন দিল ওশানগেট সংস্থা।
এই দুর্ঘটনার কয়েকদিন পরেই ওশানগেট তাদের ওয়েবসাইটে সাব পাইলটের পদে লোক নেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। কারণ ওই দুর্ঘটনায় তাদের পাইলটেরও মৃত্যু হয়েছিল। এই বিজ্ঞাপন দেখে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ওশানগেট কোম্পানিকে। ইউএস কোস্ট গার্ডের মতে, সাবমেরিনটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তার মধ্যে যাত্রীদের দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। এই সাবমেরিনটিকে জলের ১,৬০০ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার করা হয়।