নিজস্ব সংবাদদাতা: আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের ছাত্রলীকে। এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, ছাত্র লীগের কোনও সদস্য বা কর্মী সরকারি চাকরি পাবেন না। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এই ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও যে সব নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সেখান থেকেও ছাত্রলীগের সদস্য ও কর্মীদের বাদ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন। এই সংগঠনের দাবিতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন। এরপরেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগের নেতা, কর্মী, সমর্থকদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। আওয়ামী লিগ বা তার শাখা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজন পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র লীগের কর্মীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। এছাড়াও ছাত্রলীগের সদস্যরা বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝটিকা সফর করেন। এরপরেই বুধবার দুপুরে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরে বৃহস্পতিবার কাকভোরে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন, ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডের পুড়িয়ে দেওয়া বাড়ির সামনে থেকে ঝটিকা মিছিল করে ছাত্র লীগ। সংগঠনের অনেক প্রথম সারির নেতাকে এই মিছিলে দেখা যায়।