নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মাত্র দুই জন বেঁচে গিয়েছেন। তার মধ্যে একজন ওই বিমানের কর্মী ও অন্য জন বিমানের যাত্রী। বিমান দুর্ঘটনার পর তাঁরা সচেতন অবস্থায় ছিলেন। তাঁরা জ্ঞান হারাননি। কিন্তু তাঁরা দুর্ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
মোকপো কোরিয়ান হাসপাতালে ৩২ বছরের লিকে দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমি এখানে কী করছি?" লি বলেন, বিমানটি অবতরণের পর দুর্ঘটনায় মুখে পড়ে। কিন্তু তিনি দুর্ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না। শুধু তাঁর মনে রয়েছে, অবতরণের আগে সিট বেল্ট পড়েছিলেন। লি বিমানের কর্মী ছিলেন। তাঁর বাম কাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। পরিবারের অনুরোধে তাকে রাজধানী সিউলের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
অন্যদিকে, বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ১৫ বছর বয়সি কোওনকে মোকপো সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনিও চিকিৎসকদের বলেন, তাঁর দুর্ঘটনার কথা মনে নেই। কোওনের মাথার ত্বকের ক্ষত এবং একটি ভাঙা গোড়ালি ছিল। তিনি পেটে ব্যথার কথা বলেছিলেন। সেই বিষয়ে তাঁর পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে দুই জনের কারও জীবনহানির কোও আশঙ্কা নেই। ১৯৯৭ সালের পর দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে একমাত্র কোওন ও লি বেঁচে আছেন।