নিজস্ব সংবাদদাতা : মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিযোগিতা এখন গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিচ্ছে, যেখানে ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। জনমত জরিপগুলো দেখাচ্ছে, সাতটি সুইং স্টেট—যা ৯৩ টি ইলেক্টোরাল ভোট ধারণ করে—এই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্প সামান্য এগিয়ে থাকলেও, এই ফলাফলগুলির সঠিকতা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ ত্রুটির মার্জিন রয়েছে। উভয় প্রার্থীই ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলকের সম্মুখীন। যদি ট্রাম্প জয়ী হন, তবে তিনি গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের পর দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হবেন, যিনি একবার পদ হারিয়ে পুনরুদ্ধার করবেন। অন্যদিকে, হ্যারিসের জন্য এ নির্বাচন দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে।
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ৭৮ মিলিয়নেরও বেশি ব্যালট ইতিমধ্যে কাস্ট করা হয়েছে, যা ২০২০ সালের নির্বাচনের সময়ের রেকর্ডের প্রায় অর্ধেক। প্রারম্ভিক ভোটদানে এত মানুষের অংশগ্রহণ নির্বাচনের ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
সুইং স্টেটগুলোর মধ্যে ফ্লোরিডা, পেনসিলভেনিয়া, ওহাইও এবং মিশিগান রয়েছে, যেখানে ভোটারদের মনোভাব পরিবর্তন হলে পুরো চিত্র বদলে যেতে পারে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের কার্যক্রম এবং টেলিভিশন বিতর্কও ভোটারদের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, নির্বাচনী নিরাপত্তা এবং ভোটের আইনের ওপরও দৃষ্টি রাখতে হবে, বিশেষ করে যখন আগের নির্বাচনে বিতর্কিত বিষয়গুলো সামনে এসেছে। নির্বাচনের ফলাফল কিভাবে বেরিয়ে আসে, তা কেবল প্রার্থীদের প্রচারণার ওপরই নয়, বরং ভোটারদের মনোভাব ও ইতিহাসে তাদের প্রভাবের ওপর নির্ভর করছে।