হবিবুর রহমান, ঢাকা : বাংলাদেশে ঢাকা সহ সারাদেশে রবিবার শারদীয়া দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহাঅষ্টমীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে। মহাষ্টমী পূজার মূল আকর্ষণ কুমারী পূজা। ১ থেকে ১৬ বছরের যেকোনো হিন্দু কুমারী কন্যাকে মাতৃভাবে জীবন্ত প্রতিমা কল্পনা করে পূজা করা হয়।পূজার আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে পরানো হয় নতুন কাপড়। হাতে দেয়া হয় ফুল, কপালে সিঁদুরের তিলক, আর পায়ে আলতা। এরপর সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা করা হয় কুমারী মাকে। ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয় বেলা ১১ টার মধ্যে। এসময় চারদিক মুখরিত ছিলো শঙ্খ, উলুধ্বনি আর মায়ের স্তব-স্তুতিতে। কুমারী পূজা দেখতে রবিবার সকাল থেকেই নতুন কাপড় পরে বাহারি সাজে মন্দিরে মন্দিরে মণ্ডপে ভিড় করে হাজার হাজার পূণ্যার্থী। মণ্ডপে মণ্ডপে সারা দিন বেজেছে ঢাক, ছিল উলুধ্বনি।
জানা যায়, ১৯০১ সালে ধর্মপ্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে কুমারী পূজার মাধ্যমে এর প্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে এ পূজা চলে আসছে। পূজার আগ পর্যন্ত কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। এছাড়া নির্বাচিত কুমারী পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন আচার-অনুষ্ঠান করতে পারে। কুমারী পূজা ছাড়াও রবিবার মহাষ্টমীতে ঢাকার শাঁখারী বাজার, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালী মন্দিরসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে বেলা একটা থেকে দিনভর ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মন্দির ও মণ্ডপগুলোতেও পূজা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।ভক্তদের কষ্ট দূর করতে এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে। আর বিজয়া দশমীর দিনে একই বাহনে ছেড়ে যাবেন মর্ত্যলোক।
দেশ জাতি ও মানবজাতির শান্তি কামনায় প্রার্থনায় নিমগ্ন ছিলেন দেবী দুর্গার ভক্তকুল। বাংলাদেশের মণ্ডপে মণ্ডপে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ফিলিস্তিনিদের জন্য ভক্তরাও কায়মনে দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেছেন।