নিউজ ডেস্ক, ঢাক: পঞ্জিকানুযায়ী আজ শনিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হয়েছে মহানবমী পূজা।পূজামণ্ডপগুলোতে হাজার হাজার অনুরাগীর ঢল নেমেছে। পূজামণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, কাঁসর ঘণ্টা, শঙ্খের আওয়াজ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপগুলো। শনিবার সকাল ৭ টা ৪১ মিনিটে মহানবমী শুরু হয় এবং ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে মহানবমীর বিহিত পূজা শেষ হয়েছে। এরপর যথারীতি দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন ভক্তরা। নবমী তিথিতে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রী রূপে, যা ঐশ্বরিক। তিনি পার্থিব আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন এবং অজ্ঞতা দূর করেন। মূলত আজই পূজার শেষ দিন। রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে শারদীয় এ দুর্গোৎসব। অনেকের বিশ্বাস, মহানবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণ ভরে দেখে নেওয়ার ক্ষণ। এদিন অগ্নিকে প্রতীক করে সব দেবদেবীকে আহুতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই দেবী দর্শনে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। সকালে মহানবমীর বিহিত পূজা শুরু হলে ভিড় বাড়তে থাকে। ফুলে-ফলে ভরে যায় মন্দির চত্বর। বাহারি সজ্জায় সাজানো হয়েছে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ। পুরো মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ, আনসার সহ একাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
শাস্ত্র মতে, মহিষাসুরকে বধ করার জন্য দেবী পার্বতী দুর্গার রূপ ধারণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। মহিষাসুর ছিল এক ভয়ংকর অত্যাচারী ও শক্তিশালী অসুর, যার সঙ্গে যুদ্ধ করা সমস্ত দেবতার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছিল। অসুর রাজ ও দৈত্যসেনাদের বিশ্বাস হয়ে যায় যে, তারা এতটাই ক্ষমতাশালী যে স্বর্গরাজ্য জয় করে মর্ত্যবাসীদের ওপর রাজ করতে সক্ষম। স্বর্গরাজ্যে হানা দিলে সব দেবতা মহাদিদেবের কাছে ছুটে যান এবং এ সমস্যা থেকে প্রতিকার চেয়ে প্রার্থনা করেন। সে সময় মহাদেব জানিয়েছিলেন, অসুরকুলকে বিনাশ করতে পারবেন একমাত্র মহিষমর্দিনী। তাই আদিশক্তি দুর্গার রূপ ধারণ করে মহিষাসুরের সঙ্গে টানা ৮ দিন যুদ্ধ করে নবম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। সেই থেকে শুরু হয় দুর্গাপূজা।