জানুয়ারিতে শীত উধাও, গোটা বিশ্বে এক ছবি, লা নিনা-ও দেখাতে পারছে না জাদু

জানুয়ারি মাসে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা আগের তুলনায় ১.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
FBGNM,

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: জানুয়ারি পেরিয়ে এখন চলছে ফেব্রুয়ারি। বাংলা মাস অনুযায়ী, চলছে মাঘ মাস। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘মাঘের শীত বাঘের গায়, ক্ষীণের শীত সর্বদায়’। কিন্তু ক্ষীণের শীত তো দূরে থাক, রীতিমত পাখা চালাতে হচ্ছে এই মাঘ মাসেই। এই প্রথম বাংলা সহ প্রায় গোটা দেশই এমন উষ্ণ জানুয়ারি মাস এবং ফেব্রুয়ারি মাস দেখছে। তবে এই বদলটা কিন্তু শুধু মাত্র আমাদের দেশেই নয়, মোটামুটি গোটা বিশ্বেই দেখা গিয়েছে। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ জানুয়ারি, যা বিশ্ব উষ্ণায়নের ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে আরও স্পষ্ট করেছে।

EU-র কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (C3S) এক মাসিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা আগের তুলনায় ১.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এই উষ্ণতা চরম আবহাওয়া পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যদিও বিশ্ব বর্তমানে এল নিনো থেকে সরে গিয়ে শীতল লা নিনা আবহাওয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারপরও বিশ্ব উষ্ণায়ন দেখা যাচ্ছে সর্বদিকে। 

Earths-Rising-Heat

সাধারণত, এল নিনো বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, আর লা নিনা তা কিছুটা হ্রাস করে। তবে এবারের পরিস্থিতি ব্যতিক্রম। C3S-এর কৌশলগত প্রধান সামান্থা বার্গেস বলেন, “এল নিনোর প্রভাব কমে এলেও আমরা এখনও রেকর্ড পরিমাণ উষ্ণতা দেখছি, যা অবাক করার মতো”। 

বার্গেস আরও উল্লেখ করেন, লা নিনা পুরোপুরি প্রকাশ না পেলেও, তার শীতল প্রভাব বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘এই মুহুর্তে আমরা এল নিনোর বেরিয়ে যাওয়ার সময় এবং লা নিনার প্রবেশের সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে দাঁড়িয়ে আছি। আর এর জেরেই তাপমাত্রার এরকম ছন্দপতন দেখা যাচ্ছে’।

winterhimalaya