অবশেষে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে অষ্টমীতেই কুমারী পুজোর সিদ্ধান্ত

কেন এই সিদ্ধান্ত?

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2024-10-09 at 6.27.44 PM

ঢাকা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার দুর্গোৎসবের মূল আকষণ হলো কুমারী পুজো। কিন্তু এবার হবে না জানানো হয়েছিল। এতে সকল ধর্মের মানুষ হতাশ হয়েছিলেন। অবশেষে সিদ্ধান্ত পাল্টে শারদীয় দুর্গাপুজোয় অষ্টমীতে ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে প্রতিবারের মতো এবারও কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হবে।  

শাস্ত্র মতে, মানববন্দনা, নারীর সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং ঈশ্বরের আরাধনাই কুমারী পুজোর শিক্ষা। যে ত্রিশক্তিতে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি-স্থিতি ও লয়ের চক্রে আবর্তিত হচ্ছে, সেই শক্তি কুমারীতে বীজ আকারে আছে। এই বিশ্বাসেই হিন্দু ধর্মের মানুষেরা কুমারীকে দেবীদুর্গা হিসেবে আরাধনা করেন অষ্টমীতে। সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বহু বছর আগে নিজের স্ত্রী সারদা দেবীকে মাতৃজ্ঞানে যে  পুজো করেছিলেন, তারই ধারাবাহিকতায় উপমহাদেশের মিশন ও মঠগুলোতে কুমারী পুজো হয়ে আসছে। ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপুজো উদযাপন হবে।  

বাংলাদেশে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শুরুতে মহাঅষ্টমীতে এবার কুমারী পুজো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত য়েছিল। তবে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে পুজো কমিটি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুমারী পুজোর সার্বিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুজো উদযাপন কমিটি। অবশ্য আগেই জানানো হয়েছিল ঢাকার বাইরে রামকৃষ্ণ মিশনের অনেক শাখায় যথারীতি কুমারী পুজো হবে। ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী শান্তিকরানন্দ মহারাজ (কিশোর মহারাজ) জানান, এর আগে করোনা মহামারীর সময়ও মহাঅষ্টমীতে কুমারী পুজো বাদ পড়েছিল। কারণ, সংক্রমণ রোধে তখন সরকারের পক্ষ থেকে বেশি লোককে এক জায়গায় একত্রিত হতে নিষেধ করা হয়েছিল। অবশ্য কুমারী পুজোর ধারাটা রামকৃষ্ণ মিশনেই সীমাবদ্ধ, এটি মিশনেই হয়। কুমারী পুজো রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রবর্তিত একটি প্রথা। কুমারী মেয়েদের মধ্যে তিনি দেবীর উপস্থিতি দেখতেন। এ কারণে ছোট মেয়েদের তিনি অষ্টমীর দিন পুজোর ব্যবস্থা করেন। ৮-১০ বছর বয়সের কুমারী মেয়েকে দেবীরূপে পুজো করা হয়। এবার ঢাকার রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন মন্দিরের ভেতরে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। মিশনের স্বামী শান্তিকরানন্দ মহারাজ বলেন, করোনা মহামারির সময়েও সংক্রমণ রোধে মন্দিরের ভেতরে দুর্গাপুজো হয়েছিল। তাছাড়া আগে তো মন্দিরেই পুজো হতো। যখন ভক্ত সংখ্যা বেড়ে গেল, তখন মন্দিরের বাইরে আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মন্দিরের ভেতরে হলেও পুজোর দিক দিয়ে কোনো কমতি হবে না। উপাচার কিংবা প্রসাদের ব্যাপারে কোনো কমতি থাকবে না। ভক্তদের জন্য যেটা দরকার সেগুলো ঠিক থাকবে।