নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফের ক্ষমতার রদবদল হতে চলেছে নেপালে। রবিবার (১৪ জুলাই), আরও একবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনাইটেড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট দলের চেয়ারম্যান খড়গ প্রসাদ শর্মা ওলি ওরফে কেপি শর্মা ওলিকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করলেন নেপালের রাষ্ট্রপতি। সোমবার অর্থাৎ আজ সকাল ১১টায় শীর্ষ পদের জন্য শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। আস্থাভোটে পুষ্প কমল দাহল 'প্রচণ্ড' হেরে যাওয়ার পর, চতুর্থবারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন ওলি। এই নিয়ে চতুর্থবার দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি। তবে, এবার তাঁকে জোট সরকার চালাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ওলি প্রধানমন্ত্রী হলে, ভারতের চাপ বাড়তে পারে। এর আগে, তাঁকে দেখা গিয়েছে ভারতকে দূরে ঠেলে চীনের সঙ্গে মিত্রতা বাড়াতে। নেপাল সীমান্ত নিয়েও বিরোধ রয়েছে। ২০১৫ সালে এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন ওলি। চীনের কায়দাতেই, নেপালের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছিল ওলির সরকার। যেখানে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ, কালাপানি এবং লিম্পিয়াধুরাকে নেপালের অংশ বলে দাবি করা হয়েছিল। ভারত এই দাবিকে একতরফা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল। একই সঙ্গে বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছিল তাঁর সরকার। মাঝে একটা সময়, কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূতকে দিয়ে প্রায় নেপালের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছিল বেজিং। এবার, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারে এসে তিনি কী নয়া দিল্লি সম্পর্কে নীতি নেন, সেটাই দেখার।