নিজস্ব সংবাদদাতা: চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে ১৮ জন প্যালেস্তিনীয় শিশুদের ইতালিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতালির জাহাজ ভলকানটি ইতিমধ্যে শিশুদের নিয়ে স্পেজিয়ার উত্তর বন্দরে পৌঁছেছে। কিছু কিছু শিশু গুরুতর আহত। তাদের মধ্যে অনেকে হাঁটার ক্ষমতা হারিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিশুদের বোলোগনা, ফ্লোরেন্স, জেনোয়া এবং রোমের হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে। শিশুদের পরিবারের জন্য সান্ত'এগিডিও দাতব্য সংস্থায় থাকায় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইতালি গাজা থেকে ১০০ জন শিশুকে দেশে এনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতালির তরফে জানানো হয়েছে, গুরুতর আহত গাজার যে শিশুদের নিয়ে আসা হয়েছে, তাদের সকলের অবস্থা স্থিতিশীল। কারও প্রাণ সংশয় নেই। তবে শিশুদের দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
অন্য দিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হুয়ের তরফে জানানো হয়েছে গাজায় চিকিৎসা পরিষেবা একেবারে ভেঙে পড়েছে। মাত্রটি চারটি হাসপাতালে আংশিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। গাজার প্রশাসন ৭,০০০ অসুস্থ ও আহত নাগরিককে সীমান্ত পেরিয়ে মিশরে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
তবে মিশর সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। মিশর সীমান্তে গাজার শহর রাফায় ইজরায়েলের সেনাবাহিনী হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী রাফার কৃষি জমি, সাধারণ নাগরিকদের বাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাণ নিয়ে রাহা শহরের বাসিন্দারা অন্যত্র স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছেন। আর কতদিন এই হামলা চলবে, প্রাণ হাতে নিয়ে গাজার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে স্থানান্তরিত হতে হবে, প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ নাগরিকরা।
গাজায় ইজরায়েলের হামলায় সোমবার তিন জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনী দেইর এল-বালাহ শহরের হেকর এলাকায় একটি বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালালে কমপক্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। আট জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইজরায়েলি বাহিনী দেইর এল-বালাহ শহরের হেকর এলাকায় একটি আবাসিক এলাকা ও মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে গাজা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।