নিজস্ব সংবাদদাতা: ইজরায়েলের সেনাবাহিনী হামাসের উত্তরের হেড কোয়াটারের হদিশ পেয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরে বেশ কয়েক মিটার গভীর হামাসের এই সদর দফতর। মাটির নীচে দুটি স্তরে হামাসের এই সদর দফতর। একটি জটিল টানেলের মধ্যে থেকে হামাসের শীর্ষ নেতারা যুদ্ধের নির্দেশনা দিত। এই টানেলটির সঙ্গে হামাসের সঙ্গে হামাসের নর্দান ব্রিগেডের কমান্ডার আহমেদ আন্দুরের বাসভবনের সঙ্গে যুক্ত।
অন্যদিকে, হামাসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের সেনার ৪৮ জন নিহত হয়েছে। জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের সেনারা গত চারদিনে ২৪টির বেশি জায়গার হামলা করেছে। এছাড়া হামাসের সেনারা ইজরায়েলের ৩৬টি সামরিক যান আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। এছাড়াও ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর ওপর বার বার হামাস আঘাত করছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল ৮১২টি ত্রাণ শিবিরে হামলা করেছে। এই সময় ফিলিস্তিনিরা মৌসুমি ফল জলপাই কাটে। কিন্তু ইজরায়েলের হামলার জেরে ফিলিস্তিনিরা সেটা করতে পারেনি। জানা গিয়েছে, গত ৭৯ দিনে ৪,০০০ টির বেশি জলপাইগাছ উপড়ে ফেলা হয়।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ইজরায়েল ২০ জন ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দিয়েছে। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করা হয়। তারপর বন্দিদের মিশর সীমান্তে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ফেলে চলে যায়। বন্দিরা জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ট্রাকে করে তাদের একটি এমন জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে ঠান্ডা প্রচণ্ড বেশি ছিল। তাদের গায়ের ওপর ঠান্ডা জল ফেলে দেওয়া হয়। তারপর বন্দিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়।