নিজস্ব সংবাদদাতা : গাজা, লেবানন আর সিরিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকে সেনা সরাবে না ইজরায়েল। বরং সেগুলিকে ‘সিকিউরিটি জোন’ বা সুরক্ষা অঞ্চল হিসেবে রেখে, সেখানে দীর্ঘমেয়াদি সেনা মোতায়েন রাখবে তারা— এমনটাই জানালেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ। তাঁর কথায়, "শত্রু ও ইজরায়েলি বাসিন্দাদের মধ্যে একটি বাফার তৈরি করতে গিয়েই এই সিদ্ধান্ত।"
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/18/5MvNYmm4xtrCe2RXrxSq.jpeg)
প্রসঙ্গত, গাজা অঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহে ইজরায়েলি বাহিনী নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। এর মধ্যে গাজার অর্ধেকের বেশি অংশ বর্তমানে ইজরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এই চাপ বাড়ানোর মূল লক্ষ্য, হামাসের হাতে থাকা বন্দিদের মুক্ত করা।
শুধু গাজা নয়, লেবাননেও কয়েকটি জায়গা থেকে এখনো ইজরায়েল সেনা সরায়নি। গত বছর হেজবোল্লার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হলেও এই ‘সুরক্ষা অঞ্চল’ থেকে তারা পিছু হটেনি। এমনকি সিরিয়ার দক্ষিণ অংশেও নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে, যেখানে গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার পতনের পর ইজরায়েল সেনা ঢুকে পড়ে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/24/Wh8M6KZoiwYreHFX9elO.JPG)
ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। কারণ, এটা স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন স্পষ্ট বলেন, "ইজরায়েল না সরলে লেবাননের সেনা পুরোপুরি মোতায়েন সম্ভব হচ্ছে না।" অন্যদিকে, গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বুধবারও ইজরায়েলি বোমাবর্ষণে ২২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে এক বছরেরও কম বয়সি একটি শিশু। গাজা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের হামলায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১,০০০। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি মহিলা ও শিশু। হামাসের হাতে এখনো ৫৯ জন বন্দি রয়েছে, যাদের মধ্যে মাত্র ২৪ জন জীবিত বলে অনুমান।
/anm-bengali/media/media_files/xTaUO5Fhkosof2kGZesL.jpg)
ইজরায়েল জানিয়েছে, ভবিষ্যতে হামাস যেন আর এমন হামলা করতে না পারে, তার জন্যই কিছু অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন আছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনায় ফের জট বাঁধতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।