রোগীদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার, অভিযোগ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে

গাজার আল শিফা হাসপাতালে ইজরায়েল সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। হাসপাতালের প্রধান ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ ইজরায়েলের সেনারা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যার জেরে বিপাকে পড়েছে রোগীরা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
al shifa edited .jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: গাজার সব থেকে বড় হাসপাতাল আল শিফাতে অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার ইজরায়েলি সেনার আল শিফা অভিযানের দ্বিতীয় দিন। প্রথম থেকেই ইজরায়েল অভিযোগ করছে, এই হাসপাতালের মাধ্যমে হামাস তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে। তবে আল শিফা হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এখানে হাজার হাজার রোগী রয়েছেন। এছাড়াও যুদ্ধের কারণে বহু মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। 

ইজরায়েলের সেনাবাহিনী আল শিফা হাসপাতালের প্রধান দ্বার রুদ্ধ করে অভিযান চালাচ্ছে। যার ফলে আল শিফা হাসপাতালের বাইরে কেউ যেতে পারছে না। ইতিমধ্যে হাসপাতালে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রধান ফটক রুদ্ধ থাকার কারণে হাসপাতালের অভ্যন্তরে জ্বালানির পাশাপাশি খাবারের আকাল দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের মূল বিল্ডিংটি অবরুদ্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েলের সেনারা। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ঘটনার ফলে হাসপাতালে কর্মীদের মোমবাতির আলোয় কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ অনেক রোগী সেখানে রয়েছেন। বিদ্যুতের অভাবে চিকিৎসা জনিত একাধিক যন্ত্র চালনা করা যাচ্ছে না। ঘটনার জেরে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

ইজরায়েলকে এই হাসপাতালে অভিযানের সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, হাসপাতালের রোগী ও শরণার্থীদের ইজরায়েলের সেনারা মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।  আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ গাজার আল শিফা হাসপাতালে ইজরায়েলের সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছে। ইজরায়েল যুদ্ধাপরাধের মতো কাজ করেছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের একাংশ দাবি করেছে।  কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো গাজায় শিশু ও মহিলাদের হত্যা বন্ধ করার জন্য ইজরায়েলের কাছে অনুরোধ করেছে। 

অন্যদিকে, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে একটি বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে জানানো হয়েছে, তাল-আল-হাওয়া, আল-সাবরা, আল-জেইতুন, আল-গারবি, দারজ আল-তুফাহ, আল-শুজাইয়া এবং জাবালিয়ার বাসিন্দাদের জন্য সালাহ আল শাহের করিডরটি বিকেল চারটে পর্যন্ত খোলা থাকবে। এই সময়ের মধ্যে ওয়াদি গাজার দক্ষিণ দিকে সাধারণ মানুষ যেতে পারবেন। 

পাশাপাশি ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, সুজাইয়া এবং তুর্কমেনের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতি থাকবে। সেই সময় গাজার সাধারণ মানুষ ওই পথ ব্যবহার করে নিরাপদ জায়গায় যেতে পারেন। এছাড়াও যাঁরা হামাসের কারণে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁরা ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা দফতরের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করতে পারেন। ইজরায়েলের সেনা তাদের সাহায্য করবে।