নিজস্ব সংবাদদাতা: ইরান লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে, এমনটাই অভিযোগ করল আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা। ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা গত চার সপ্তাহে ১০০টিরও বেশি বাণিজ্য জাহাজের ওপর হামলা করেছে। এই হামলার পরিকল্পনায় ইরান যুক্ত বলেও মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা দাবি করেছে।
আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে একাধিক হামলা চালিয়েছে। ইরান হুতিদের হামলা চালাতে প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি ওয়াটসন বলেন, ইরানিরা হুতিদের মনিটরিং সিস্টেম সরবরাহ করেছে। এর ফলে হুতিরা ইরানের সামুদ্রিক ও আকাশসীমা ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর হামলা শুরু করে। এই হামলার বুদ্ধি ইরানের কাছ থেকে হুতিরা পেয়েছে বলেই মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা দাবি করেছে। ওয়াটসন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে হুতিদের ইরান অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। এমনকী, হুতিরা যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তা ইরানই সরবরাহ করে।
আমেরিকার সামরিক বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লোহিত সাগরের ওপর বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর আক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। গত দুই প্রজন্মে এই ধরনের তীব্র আক্রমণ প্রত্যক্ষ করেনি। হামলার ক্ষেত্রে হুতিরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে। সেগুলো যে ইরানের তৈরি, তার ইতিমধ্যে বহু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গত দুই মাসে লোহিত সাগরের নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। লোহিত সাগর বিশ্বের সব থেকে বড় বাণিজ্য রুট। এই সমুদ্র পথেই বিশ্বের অধিকাংশের বেশি বাণিজ্য জাহাজ যাতায়াত করে। ইজরায়েল গাজার সংঘর্ষের পর থেকে লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এরফলে ইজরায়েলের প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন। ইজরায়েল প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় আক্রমণ করে। মার্কিন গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, যে সব দেশ ইজরায়েলকে সাহায্য করেছে, তাদের বাণিজ্য জাহাজ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত গোষ্ঠী এই দাবি অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ইজরায়েল হামাসের লড়াইয়ের সঙ্গে লোহিত সাগরে বাণিজ্য জাহাজ হামলার কোনও যোগ নেই।