কানাডার লিবারেল পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যদিও পরবর্তী নেতার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। এর মধ্যেই কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিবারেল পার্টির সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, তিনি কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং দেশটির পুনর্গঠনের জন্য একটি "ছোট, দক্ষ সরকার" গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চন্দ্র আর্য, যিনি নেপিয়ানে পার্লামেন্ট সদস্য, অতিরিক্ত কর্ণাটকের জন্মগ্রহণকারী, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কানাডাকে একটি সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার সরকার মেধার ভিত্তিতে কাজ করবে এবং দেশের উন্নতির জন্য কাঠামোগত সমস্যাগুলোর সমাধান করবে।
নিজের সামাজিক মাধ্যম এক্স (Twitter) হ্যান্ডেলে চন্দ্র আর্য তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন, "আমি কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছি এবং দেশকে আরও শক্তিশালী ও দক্ষভাবে পরিচালিত করতে চাই।" তিনি আরও জানিয়েছেন, কানাডার ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তিনি ২০১৫ সালে প্রথমবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন এবং তার রাজনীতি ও নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, খালিস্তানি উগ্রবাদসহ নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে শক্তিশালী মতামত প্রদান করেছেন। এছাড়াও, ২০২২ সালে কানাডার সংসদে কন্নড় ভাষায় তার বক্তৃতা অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি তার মাতৃভাষা কন্নড়কে সংসদে তুলে ধরে বলেন, "এটি আমার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং গর্বের বিষয়।"
চন্দ্র আর্য, যিনি দীর্ঘদিন প্রযুক্তি ও ব্যবসা খাতে কাজ করেছেন, বর্তমানে একজন সফল ব্যবসায়ীও। ২০ বছর আগে তিনি তার পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় অভিবাসন করেন এবং এরপর থেকেই দেশের জন্য কাজ করছেন। তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাস তাকে কানাডার ভবিষ্যত গঠনে অন্যতম শক্তিশালী নেতা হিসেবে তুলে ধরছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, কি হবে কানাডার রাজনৈতিক ভবিষ্যত? পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চন্দ্র আর্যের এই ঘোষণা কীভাবে প্রভাব ফেলবে দেশটির রাজনীতিতে?