নিজস্ব প্রতিবেদন : পাকিস্তানের নারওয়াল জেলার জাফরওয়াল শহরে অবস্থিত বাওলি সাহিব মন্দিরটি সংস্কারের জন্য সরকারের ১ কোটি পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ১৯৬০ সালের পর এই মন্দিরটি পরিত্যক্ত ছিল, যা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছিল।
/anm-bengali/media/media_files/2024/10/22/1000082811.jpg)
এই মন্দিরের সংস্কার প্রকল্পটি শুরু হয়েছে, যেখানে পুরনো প্রাচীরটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। সংস্কার কাজের আওতায় মন্দিরের চত্বরের উন্নয়ন এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত পরিবর্তনও করা হবে।
নারওয়াল জেলায় বর্তমানে ১,৪৫৩ জন হিন্দুর বসবাস, কিন্তু সেখানে কোনো কার্যকরী মন্দির নেই। তাই তারা বাড়িতে পূজা করেন অথবা দূরের শহরে যান। সংস্কারের ফলে হিন্দু সম্প্রদায় নিজেদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে, যা তাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষায় সহায়তা করবে।
/anm-bengali/media/media_files/2024/10/22/1000082810.jpg)
এটি পাকিস্তানের ধর্মীয় সহনশীলতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগ মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সংলাপ সৃষ্টি করবে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির দিকে একটি নতুন পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। মন্দিরটি সংস্কার হওয়ার পর পাক ধর্মস্থান কমিটির কাছে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে, যা ভবিষ্যতে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে কাজ করবে। সামগ্রিকভাবে, এই উদ্যোগ স্থানীয় হিন্দুদের জন্য একটি আশার আলো, যা তাদের ধর্মীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক স্বীকৃতিও প্রদান করবে।