নিজস্ব সংবাদদাতা: ছাত্র আন্দোলনের জেরে গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার আসন ছাড়তে হয়েছে। তারপর তার বাসভবনে তাণ্ডব চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা ঘোষনা করেছেন সেনাপ্রধান। এর আগেও কিন্তু আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। ২০০৯ সালের বিদ্রোহের সময় কিন্তু শেখ হাসিনার আসন কিন্তু ভারতই বাঁচিয়েছিল। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ রাইফেলস (BDR) বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তৎকালীন সময়ে বিপুল সংখ্যক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের মানুষজনকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যার ইতিহাস ছিল এটি।
/anm-bengali/media/media_files/hasina1.jpg)
সেই সময় ঐ বিদ্রোহ এবং সহিংসতা বৃদ্ধি পেলে শেখ হাসিনা ভারতের কাছেই সাহায্য চেয়েছিলেন। কথা বলেছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। হাসিনার সাহায্যের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেননি তিনি। ভারতীয় সেনাদের উপর ঢাকা বিমানবন্দর এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেনাপ্রধান জেনারেল মঈনউদ্দিন আহমেদকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল ভারতের পক্ষ থেকে।
/anm-bengali/media/media_files/PbuFaiJUdwQSLIGckgFv.jpg)
সূত্রের খবর, বর্তমানে ছাত্র আন্দোলনের জেরে আপাতত দেশ ছাড়ার পর ভারতের গাজিয়াবাদেই আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। পিটিআই সূত্রে খবর, হাসিনাকে এখন লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে নারাজ ব্রিটিশ প্রশাসন। তবে কি ভারতেই নিরাপত্তার সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন শেখ হাসিনা? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে...
/anm-bengali/media/post_attachments/ac8528a75e330e5c85b8359227a6b95900b3a33657a038bc345238dc093c302d.webp)