নিজস্ব সংবাদদাতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলেছেন। তার মতামত ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, একটি দেশ যা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। হ্যারিস বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সমস্যাগুলি সমাধানের তাৎক্ষণিকতার উপর জোর দেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর আলোকপাত করেন।
ভারত, তার বিপুল জনসংখ্যা এবং দ্রুত শিল্পায়নের সাথে পরিবেশগত গুরুতর উদ্বেগের সম্মুখীন। বায়ু দূষণ, জলের অভাব এবং চরম আবহাওয়ার ঘটনা চাপের বিষয়। হ্যারিসের অবস্থান টেকসই অনুশীলন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার ভারতের প্রচেষ্টার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
হ্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি কার্বন নির্গমন হ্রাস এবং পরিষ্কার শক্তি সমাধান প্রচারের জন্য দেশগুলি একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান। এই পদ্ধতি প্যারিস চুক্তির প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্যগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
ভারতের কয়লার উপর নির্ভরতা পরিষ্কার শক্তি উৎসগুলিতে পরিবর্তিত হওয়ার ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। হ্যারিসের নবায়নযোগ্য শক্তির উপর জোর ভারতের সৌর এবং বায়ু শক্তির দিকে স্থানান্তরকে সমর্থন করতে পারে। তার অবস্থান সবুজ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে, যা ভারতের অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য উপকারী হতে পারে।
জলবায়ু উদ্যোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে সহযোগিতা প্রযুক্তি এবং নীতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করতে পারে। তাদের প্রচেষ্টাকে একত্রিত করে, উভয় দেশই জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে পারে, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করে।