নিজস্ব সংবাদদাতা : গ্রিস ইউক্রেনে আন্তর্জাতিক বাহিনীতে অংশগ্রহণের জন্য তিনটি প্রধান শর্ত নির্ধারণ করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস সম্প্রতি এই শর্তগুলো প্রকাশ করেছেন, যা ইউক্রেনের পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/27/1000176897-299536.jpg)
প্রথম শর্ত হিসেবে, গ্রিস জানিয়েছে যে তারা কেবলমাত্র যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরই ইউক্রেনে অংশগ্রহণ করবে। অর্থাৎ, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলে তবেই তারা যে কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নেবে।
দ্বিতীয় শর্ত হলো, গ্রিসের কোনো বাহিনী রাশিয়ার মাটিতে মোতায়েন করা হবে না। তাদের কেবল ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে দিতে হবে।
তৃতীয় শর্তটি আরও স্পষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি যুদ্ধ আবার পুনরায় শুরু হয়, সে ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী নিরাপদে নিজের দেশে ফিরে আসব। অর্থাৎ গ্রিস চাইছে একটি সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট প্রস্থান কৌশল।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/27/1000176898-773624.jpg)
এই শর্তগুলো গ্রিসের সতর্কতা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও নৈতিকতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী মিতসোটাকিসের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে যে, ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিস্থিতি জটিল হলেও গ্রিস তাদের দেশের নিরাপত্তা এবং কৌশলগত স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।