নিজস্ব সংবাদদাতা : গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের একটি অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের উপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু নিরীহ মানুষ। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই ১৫ জন মারা গেছেন, যাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন আল-মাওয়াসি নামের একটি মানবিক শিবিরে, যেখানে আগেই স্থানচ্যুত হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল অসংখ্য পরিবার।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/19/1000190353-912291.jpg)
এই ঘটনার পাশাপাশি রাফাহ শহরে আরও কয়েকটি আলাদা হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন মা এবং তাঁর ছোট মেয়েও রয়েছেন। গাজার ইউরোপীয়ান হাসপাতালে তাঁদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল এখনো এই হামলাগুলির বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেনি। তবে তারা আগেই জানিয়েছে যে গাজা জুড়ে আরও বড় পরিসরে অভিযান চালানো হবে এবং কিছু অংশকে "নিরাপত্তা এলাকা" হিসেবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে, যাতে হামাসের ওপর চাপ তৈরি করা যায়।
এই মুহূর্তে গাজার প্রায় সব মানুষই জীবিকার জন্য নির্ভর করছেন দাতব্য রান্নাঘরের ওপর। প্রতিদিন মাত্র এক মিলিয়নের মতো প্রস্তুত খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে, যা দুই মিলিয়নের বেশি মানুষের জন্য একেবারেই কম। বাজারে খাবারের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে সাধারণ মানুষের পক্ষে কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/19/1000190354-413560.jpg)
জাতিসংঘ বলছে, অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি গাজার সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট। ওষুধ ও ত্রাণ সরবরাহও কার্যত বন্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবিকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তিনি গাজার পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখেন এবং ত্রাণ প্রবেশের জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরি করেন। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ জীবনের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। অনেকেই তাদের প্রিয়জনকে হারাচ্ছেন, আর বাকিরা দিন কাটাচ্ছেন মৃত্যুভয়ের মধ্যে।