নিজস্ব সংবাদদাতা: ফিলিস্তিনি অঞ্চলে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অনেক সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘ উদ্বিগ্ন। ওএইচসিএইচআর এখনও পর্যন্ত ৫০ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীর নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানানো হয়েছে, আরও ৩০ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী মারা যেতে পারেন।যা গাজায় নিথিভুক্ত সাংবাদিকদের সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত প্রায় ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টের মতে, ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী যত সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন তার ৭৩ শতাংশই গাজায়। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীরা, সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেভাবে গাজার সাধারণ নাগরিক কঠিন বাস্তব বিশ্বের সামনে প্রকাশ করেছে, তা সত্যি অতুলনীয়। সারা বিশ্ব জানতে পারছে কত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে গাজার মানুষ রয়েছেন। এই কাজের জন্য সাংবাদিকরা সত্যি বিশ্বের কাছে শ্রদ্ধার দাবি রাখে। কিন্তু এই যুদ্ধে একের পর এক সাংবাদিক নিহত হচ্ছেন, যা অত্যন্ত বেদনার।” রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, 'যে কোনও মূল্যে আমাদের সাংবাদিকদের রক্ষা করতে হবে। এই সাংবাদিকদের জন্যই আমরা আসল সত্যিটা জানতে পারছি।'
অন্যদিকে, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় মোট ৩৬টি হাসপাতাল রয়েছে। তারমধ্যে মাত্র আটটি হাসপাতালে আংশিকভাবে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। বাকি হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, গাজায় সব থেকে বড় হাসপাতাল আল-শিফা। কিন্তু সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও চিকিৎসা কর্মীর তীব্র আকাল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে সেখানে এখনও পর্যন্ত অস্ত্রোপচার সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে গাজায় তীব্র খাবারের আকাল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে গাজার সাধারণ মানুষের অবস্থার দ্রুত অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনায় গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে গাজার রেড ক্রিসেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, লেবাননের সহযোগিতায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় নতুন করে একটি হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই হাসপাতালে ৫০টি শয্যা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ট্রমা কেয়ার সেন্টার থাকবে। মূলত ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর আঘাতে আহতদের পরিসেবা দিতে এই হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।