নিজস্ব সংবাদদাতা : কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি, গাজায় ইসরায়েলি সেনার প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ নিশ্চিত করবে। তবে, ইসরায়েলি রাজনীতিতে গভীর বিভেদ রয়েছে, যা চুক্তির স্থায়িত্বে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলের ৩৩ সদস্যের মন্ত্রিসভা, দীর্ঘ আলোচনা শেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন করেছে, তবে এটি যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি নয় এবং ৬৫ জন জিম্মির মুক্তি সম্পর্কে কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, যিনি এক বছর আগে এমন চুক্তির বিরুদ্ধে ছিলেন, এখন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
চরমপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন গভির চুক্তির বিরোধিতা করেছেন এবং বলেছেন যে এটি ইসরায়েলের জন্য বিপর্যয়কর। তিনি জানিয়েছেন, যদি চুক্তি কার্যকর হয়, তার দল শাসক জোট থেকে বেরিয়ে যাবে। এছাড়া, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের প্রস্থানও সরকারকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। আন্তর্জাতিক চাপ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ইসরায়েলের জন্য ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে রেখেছে। গাজা যুদ্ধ বিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নির্ভর করছে ইসরায়েলি সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উপর।