বাংলাদেশীদের প্রতি টিউলিপের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

জয়ী লেবার পার্টির প্রার্থী।

author-image
Adrita
New Update
df

ফাইল ছবি

জুয়েল রাজ, লন্ডনঃ টানা চতুর্থবারের মত যুক্তরাজ্যে সংসদ সদস্য হলেন টিউলিপ সিদ্দীক। বঙ্গবন্ধুর নাতনী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি হওয়াতে ব্রিটেনের রাজনীতিতে তাঁকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম  ছিলনা। 

এবারের ফলাফল ঘোষণার পর, জয়ের প্রতিক্রিয়ায় টিউলিপ সিদ্দীক বলেন, '' সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের দোয়ায় আমি এই নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচিত হলাম। আমাদের বাংলাদেশী কমিউনিটি আমাকে সবসময় সাহায্য ও সমর্থন করে। আমি খুবই কৃতজ্ঞ, এইবারও ওনারা আমাকে সমর্থন করেছেন। '' 

উল্লেখ্য টিউলিপ ২০১৫ সালে লেবার পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ  আসন থেকে নির্বাচনে জয়ী হন। পরের দফায় ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। এরপর নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগেই ২০১৯ সালের শেষে যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন হয়। তাতে কনজারভেটিভ পার্টির জনি লুককে ১৪ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান টিউলিপ সিদ্দীক।

উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে টানা চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দীক। কনজারভেটিভ পার্টির ডন উইলিয়ামসকে প্রায় ১৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি। ফলাফলে দেখা যায়, টিউলিপ সিদ্দীক ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট  পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। যা মোট ভোটের ৪৮.৩ শতাংশ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট।

শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর মেয়ে টিউলিপ লন্ডনের মিচামে জন্মগ্রহণ করেন। টিউলিপের শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত ও সিঙ্গাপুরে। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্মেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। 

টিউলিপ বিভিন্ন সময়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গে কাজ করেছেন। ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হন তিনি। ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রথম বাঙালি নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন টিউলিপ।

Adddd