হাবিবুর রহমান, ঢাকা: বাংলাদেশে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শনিবার উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ ঘিরে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসা। সাধ ও সাধ্যানুযায়ী ঘরে ঘরে রান্না হয়েছে সুজি, সেমাই, পোলাও, কোরমা, পায়েস, পিঠাপুলিসহ নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ সকালে ঈদগাহ, মসজিদ ও খোলা মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এতে অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন উৎসবমুখর পরিবেশে। নামাজ শেষে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। বাংলাদেশের দিনাজপুরের গোর-এর শহীদ ও কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ময়দানে ছিল লাখো মুসল্লির ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল প্রতিটি ঈদগাহ। সারা বাংলাদেশে ঈদের জামাতে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে রোদের উত্তাপ থেকে স্বস্তি পেতে ঈদের জামাতে বিশেষ দোয়া করা হয়। এদিন সকাল ৭ টায় বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অর্ধকোটি মানুষ। আর বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনে যথাযথভাবে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবী সহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর সকাল ১১ টা থেকে বিচারক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, সচিব এবং সচিবের সমতুল্য পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।