ভয়াবহ ডেঙ্গুর কবলে ওপার বাংলা, সব রেকর্ড ভেঙে গেল

ভয়াবহ ডেঙ্গুর কবলে বাংলাদেশ।

author-image
SWETA MITRA
আপডেট করা হয়েছে
New Update
dengg.jpg

হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি (Dengue) ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পরিসংখ্যানে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে চলতি বছর। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৫৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৯২ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৬৫ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৩ জনে। এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে এক বছরে সর্বোচ্চ ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৪৭৩ জনে। এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬১ হাজার রোগী, আর ২০১৯ সালে রেকর্ড ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।


বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৪টি জেলাতেই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ডেঙ্গু শুধু ঢাকা নয়, গ্রামগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের ৮ জেলার মোট ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৪১ মানুষ। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে বিছানা ফাঁকা নেই, তাই ডেঙ্গুতে সেবা নিতে আসা রোগীদের শেষ ভরসা হাসপাতালের মেঝে। 


বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব বলছে, বাংলাদেশে ২০০০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২০০১ সালে ৪৪ জন, ২০০২ সালে ৫৮ জন, ২০০৩ সালে ১০ জন, ২০০৪ সালে ১৩ জন, ২০০৫ সালে ৪ জন এবং ২০০৬ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এরপর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালে ৬ জন, ২০১২ সালে একজন এবং ২০১৩ সালে ২ জন মারা যায়। আর ২০১৪ সালে কেউ মারা গেছে কি না তা জানাতে পারেনি অধিদফতর। ২০১৫ সাল থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যা। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরের বছর ২০১৬ সালে ১৪ জন, ২০১৭ সালে ৮ জন, ২০১৮ সালে ২৬ জন, ২০১৯ সালে ১৭৯ জন, ২০২০ সালে ৭ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন এবং সবশেষ ২০২২ সালে ২৮১ জন মারা যান ডেঙ্গুতে।