হাবিবুর রহমান, ঢাকা: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বাংলাদেশে বরিশাল, ভোলা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামে ও কুমিল্লায় ১১ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রেমালের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে চলছে তীব্র ঝোড়ো বা দমকা হাওয়া।
বাংলাদেশে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলোচ্ছ্বাস। জোয়ারের জলে নিঝুমদ্বীপ, মহেশখালী, রাঙ্গাবালী, বরগুনার পাথরঘাটা, বাগেরহাট, মোংলা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে উপকূলী অঞ্চল।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসাবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। বাংলাদেশের পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তবে এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ এলাকা। ডুবেছে সড়ক, অলি-গলি। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট। জল ঢুকেছে বসতবাড়ি, দোকানসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে নগরীর বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।