ঘূর্ণিঝড় 'মোচা'র তাণ্ডবে মিয়ানমারের বন্দর নগরী প্লাবিত

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে রবিবার মিয়ানমারের বন্দর নগরী সিটওয়ে প্লাবিত হয়েছে।

author-image
Aniruddha Chakraborty
New Update
জনভবভ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে রবিবার মিয়ানমারের বন্দর নগরী সিটওয়ে প্লাবিত হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ে'র কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে এবং ঘণ্টায় ১৩০ মাইল বেগে বাতাসের কারণে টিনের ছাদ ভেঙ্গে গেছে এবং একটি যোগাযোগ টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। মিয়ানমারে ভূমিধসে দুইজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী বাহিনী, গাছ চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।


এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানা সবচেয়ে বড় ঝড়টি সমুদ্রতীরবর্তী শহরটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিটওয়ের রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছিল। মিয়ানমারের সামরিক তথ্য দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে সিটওয়ে, কিয়াউকপিউ ও গওয়া শহরে বাড়িঘর, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোবাইল ফোন টাওয়ার, নৌকা ও ল্যাম্পপোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার (২৬৪ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে কোকো দ্বীপপুঞ্জের স্পোর্টস ভবনের ছাদও ভেঙে পড়েছে।

দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের একটি উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে যে তারা তাচিলিক টাউনশিপে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে চাপা পড়া এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। সিটওয়ের তিন লাখ বাসিন্দার মধ্যে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে অন্য শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ শহরের উচ্চভূমিতে অবস্থিত মঠ, প্যাগোডা এবং স্কুলের মতো শক্তিশালী ভবনে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, 'অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোচা' দুর্বল হয়ে মিয়ানমারের ওপর দিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সিস্টেমটি দুর্বল হওয়ার প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে এবং আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।