নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) কর্তৃক একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও মঙ্গলবার সুদানের রাজধানীর কিছু অংশে গোলাবর্ষণ ও সংঘর্ষের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাসিন্দারা।
আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি হেমেদি নামে পরিচিত, মঙ্গলবার ও বুধবার একটি অডিও বার্তায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন, যখন তার বাহিনী দক্ষিণ খার্তুমের একটি প্রধান পুলিশ ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয়, যেখানে তারা কয়েকটি যানবাহন এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ বাজেয়াপ্ত করে।
সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে একাধিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং ঘোষণা ব্যর্থ হয়েছে, যার মধ্যে সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহে জেদ্দায় স্থগিত হওয়া বেশ কয়েকটি আলোচনাও রয়েছে।
যুদ্ধ খার্তুমে ব্যাপক ধ্বংস ও লুটপাট এনেছে এবং সুদানের অন্যান্য অংশে, বিশেষত দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে যেখানে আক্রমণ এবং জাতিগত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে।
খার্তুম জুড়ে বেসামরিক ভবন লুটপাট ও দখলের জন্য আরএসএফকে ব্যাপকভাবে দোষারোপ করা হয়েছে, যখন সেনাবাহিনী বিমান হামলা এবং ভারী আর্টিলারি দিয়ে আধাসামরিক বাহিনীকে পিছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
হেমেদি বলেন, 'আরএসএফ লঙ্ঘনের তদন্তের জন্য একজন সিনিয়র কমান্ডারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে, যা তীব্রতা এবং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। আমরা স্পষ্টভাবে নিশ্চিত করছি যে আমাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান হল যে আমরা নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যে কোনও লঙ্ঘনকে প্রত্যাখ্যান করি এবং নিন্দা জানাই।"
মঙ্গলবার প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধের কারণে প্রায় ২৮ লাখ মানুষ উচ্ছেদ হয়েছে, ২১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে ছয় মানুষ লাখ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে।
বাসিন্দারা বলছেন, দারফুরের এল জেনেইনায় আরব মিলিশিয়া ও আরএসএফের হামলা থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিরা পায়ে হেঁটে চাদে পৌঁছানোর চেষ্টা করার সময় নিহত বা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন, 'অনেক নারী ও শিশু আহত অবস্থায় চাদে পৌঁছেছে।'