নিজস্ব সংবাদদাতা: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা, এরপরই কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগাম নির্বাচন। আগামী ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহণের দিন ঠিক হয়েছে। রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ওটোয়ায় গভর্নর জেনারেল মেরি সাইমনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হাউস অফ কমন্স ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ জানান, যা পরবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে।
প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত ছিল ২৭ অক্টোবর, তবে প্রায় ছয় মাস আগেই কানাডায় এই স্ন্যাপ ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গভর্নর জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর, কার্নি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন এবং বলেন, “আমি কানাডাবাসীর কাছ থেকে একটি শক্তিশালী ইতিবাচক জনমত চাইছি।”
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে কানাডার রাজনৈতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের এক সাম্প্রতিক বক্তব্যে কানাডার ওপর হুমকি প্রসঙ্গে কার্নি বলেন, "তিনি আমাদের ভেঙে ফেলতে চান, যেন আমেরিকা আমাদের মালিকানা নিতে পারে। কিন্তু আমরা কখনোই তা হতে দেব না।"
কার্নি আরও বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনসমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই তিনি দেশবাসীর কাছ থেকে শক্তিশালী জনমত প্রত্যাশা করছেন।
কার্নি তার প্রচারে জনপ্রিয়তাবাদের পথ অনুসরণ করছেন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেওয়া বেশ কিছু নীতির বিরোধিতা করছেন।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/10/fNK1g6T4ARAVtcNL4Yw2.jpeg)
প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এবার হাউস অফ কমন্সের একটি আসনে ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছেন, যেখানে আগে ইন্দো-কানাডীয় এমপি চন্দ্র আর্য প্রতিনিধিত্ব করতেন। তবে বৃহস্পতিবার তার ২০২৫ সালের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীপদ বাতিল করা হয়েছে।
এই নির্বাচনে কার্নির কৌশল, ট্রাম্পের প্রভাব এবং ভোটারদের সিদ্ধান্ত—সব মিলিয়ে কানাডার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।