নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের তিনটি হাসপাতালে আটজন ভারতীয় বন্দির মৃতদেহ কয়েক মাস থেকে সাড়ে তিন বছর ধরে অযত্নে পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র প্রথম আলো। একইসঙ্গে, এক পাকিস্তানি বন্দির মৃতদেহও হিমঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার বারবার ভারত ও পাকিস্তান সরকারের কাছে মৃতদেহগুলো বুঝে নেওয়ার আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, শরিয়তপুর এবং খুলনার হাসপাতালের হিমঘরে বন্দিদের দেহ রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হিমঘরে সংরক্ষিত দেহগুলো হল ইমতাজ (উত্তরপ্রদেশ) মৃত্যু ১৪ জুলাই, ২০২১। তারেক বাইন (বিহার)- মৃত্যু ৩০ অক্টোবর, ২০২২। খোকন দাস (পশ্চিমবঙ্গ)- মৃত্যু ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। অশোক কুমার (দিল্লি)- মৃত্যু ২ অগস্ট, ২০২৩। কুনালিকার (ঝাড়খণ্ড): মৃত্যু ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। শরিয়তপুর হিমঘরে সংরক্ষিত দেহগুলো হলো সতেন্দ্র কুমার (দিল্লি): মৃত্যু ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩
বাবুল সিং (দিল্লি): মৃত্যু ১৫ এপ্রিল, ২০২৩। খুলনার হিমঘরে সংরক্ষিত দেহ
সুরজ সিংহ (পশ্চিমবঙ্গ)- মৃত্যু ৭ জুলাই, ২০২৪। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হিমঘরে পাকিস্তানের করাচির মহম্মদ আলি-র (মৃত্যু ১৮ জুন, ২০২১) দেহ রয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মৃত বন্দিদের অধিকাংশই অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। যদিও মৃত্যুর কারণ হিসেবে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতাকে উল্লেখ করা হয়েছে। বারবার আবেদন সত্ত্বেও ভারত ও পাকিস্তান সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন ধরে এই মৃতদেহগুলো অযত্নে পড়ে থাকায় মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এই পরিস্থিতি কেবলমাত্র কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। মৃতদের পরিবার এবং মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ইস্যুতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। বন্দিদের জীবনের মূল্য এবং মর্যাদা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সচেতনতা ও উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।