হাসিনাকে যে কোনও মূল্যে ফেরত চায় বাংলাদেশ! নয়া ফন্দি আঁটছে ইউনুস সরকার

হাসিনাকে যে কোনও মূল্যে ফেরত চায় বাংলাদেশ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
hasinanew

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে তৎপর হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ বিষয়ে ভারতের কাছে কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভার্বাল) পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।


বাংলাদেশ সরকারের প্রেস সচিব বলেছেন, “আমরা নোট ভার্বাল পাঠিয়েছি এবং আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা। তিনি যে ধরনের অপরাধ করেছেন, তার জন্য তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। এই বিষয়ে আমরা এক ইঞ্চিও পিছিয়ে যাব না।”

প্রেস সচিব আরও বলেন, “যেভাবে শেখ হাসিনা তার বাবার হত্যাকারীদের দেশে এনে বিচারের ব্যবস্থা করেছিলেন, আমরাও তার বিরুদ্ধে একই রকম প্রক্রিয়া অনুসরণ করব। তার শাসনকালে গুম, দুর্নীতি ও একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে যে চোরতন্ত্র চালু হয়েছিল, তার জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশ দীর্ঘদিন ধরে অপরাধীদের আশ্রয় দেয় না। আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখব।”

 শেখ হাসিনার শাসনামলের অপরাধ তদন্তের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, “আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে সৎ ও অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিকদের দায়িত্ব দেব। আগের তদন্তকারীদের ক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল আশা করা কঠিন, তাই নতুন করে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হবে।”

এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে নোট ভার্বাল পেয়েছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে একটি প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত অনুরোধ পাওয়া গেছে। তবে এ মুহূর্তে এ বিষয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।”

 বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। বিশেষত, শেখ হাসিনার শাসনামলে ঘটে যাওয়া শিশু হত্যা, গুম এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আনতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মতে, শেখ হাসিনাকে বিচারের সম্মুখীন করা জাতির দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। তাদের আশা, এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও ভবিষ্যৎ সরকারগুলো একই লক্ষ্যে কাজ করবে। এই কূটনৈতিক পরিস্থিতি আগামী দিনে আরও গভীর আলোচনার সূত্রপাত ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।