নিজস্ব সংবাদদাতা: কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে ফেরত চাওয়া হবে। রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত একটি সংবাদসম্মেলনে এমনটাই দাবি করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে আমাদের সরকারের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের সম্মুখীন করতে চাই। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে হত্যার মূল নির্দেশদাতা তিনি। এর আগে যেসব গুম হয়েছে, তখন তিনি সরকারপ্রধান ছিলেন। তারপর শ্বেতপত্রে এসেছে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে। এটি করদাতাদের টাকা, নাগরিকদের টাকা চুরি করে বাইরে চলে গেছে। এই পুরো জিনিসগুলোর জবাবদিহির জন্য আইনের আওতায় আনাটা হচ্ছে আমাদের একটি অঙ্গীকার।"
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করেছে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে গিয়েছে। হিন্দু মহিলাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, জোর করে ধর্মান্তরিত করা, খুন করা, মন্দির ভাঙচুর করার অভিযোগ লেগেই কয়েছে বাংলাদেশে। ভারতের তরফে একাধিকবার বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিলেও এখনও পর্যন্ত কঠোর অবস্থান নয়াদিল্লি নেয়নি।