মিথ্যা কথা বলছে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা! নৃশংস অত্যাচারের কথা সামনে আসতেই বিপাকে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জলে প্রবেশের অভিযোগে আটক এই মৎস্যজীবীদের উপর চলেছে শারীরিক নির্যাতন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
fishermen

নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘ বন্দিদশার পর দেশে ফিরেছেন ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। নিজেদের মাটিতে পা রাখার পরই তাদের চোখে জল। অভিযোগ, বাংলাদেশের জলে প্রবেশের অভিযোগে আটক এই মৎস্যজীবীদের উপর চলেছে শারীরিক নির্যাতন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।

প্রত্যাবর্তনের পর বন্দিদশার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানান অনেকেই। কেউ হাঁটতে পারছেন না ঠিকমতো, কেউ ভুগছেন মানসিক আঘাতে। এমনকি, একজন মৎস্যজীবী ভয় পেয়ে জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে এসব অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক জানায়, ভারতীয় মৎস্যজীবীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই আচরণ করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি তাদের। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। ৯ জানুয়ারি দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে এই মৎস্যজীবীদের আটক করা হয়। পটুয়াখালি ও মংলা এলাকায় তাদের বন্দি রাখা হয়েছিল। যদিও দেশে ফিরে আসা মৎস্যজীবীরা বলছেন ভিন্ন কথা। গোপাল মান্না নামে এক মৎস্যজীবী অভিযোগ করেছেন, “নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে আমাদের। সেই সময় ছবি তোলা হয়েছে।” তাদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মৎস্যজীবীদের পরিবার এবং বিভিন্ন মহল।

সম্প্রতি শেখ হাসিনার বিদায় এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির মতো ঘটনাগুলি ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই মৎস্যজীবীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠলেও, বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। অন্যদিকে, মৎস্যজীবীদের দাবির তদন্তে নেমেছে ভারত সরকার।