নিজস্ব সংবাদদাতা: ঢাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লাহ একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তিনি দাবি করেছেন, সেনা সদর দফতরে তাঁদের তলব করে শাসানো হয়েছিল এবং সেনাবাহিনী নাকি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফেরানো ঠেকাতে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে। এমনকি, কিছু সেনা কর্মকর্তা ভারতের স্বার্থে কাজ করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তবে সেনাবাহিনী এসব দাবি সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছে এবং ক্যান্টনমেন্ট থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি।
এদিকে, হাসনাতের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী সারজিস আলম তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। আজ এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়েছেন, হাসনাতের মন্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত নন। উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে হাসনাতের পাশে সারজিসও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান তাঁদের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টি করেননি; বরং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা বলেছেন। অন্যদিকে, হাসনাতের দাবি ছিল, সেনাপ্রধান কঠোর ভাষায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সারজিসের বক্তব্য, কথাগুলো সরাসরি বলা হলেও ধমকের সুর ছিল না।
এই বিতর্কের মধ্যেই আজ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর জিওসি-দের নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এটি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। এর আগে, এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছিলেন, "এনাফ ইজ এনাফ"—যা দেশজুড়ে নানা গুঞ্জনের জন্ম দেয়, এমনকি সেনার ভেতর অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/24/hFdVralgvN9yRuQMOEA3.JPG)
এই টানাপোড়েনের মধ্যেই হাসনাত আবদুল্লাহ একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন, যেখানে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে বলতে শোনা যায় যে, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান নাকি ইউনুসকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। এ নিয়ে ধারণা করা হচ্ছিল, হাসনাত সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছেন এবং সেনাপ্রধানকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন। তবে সারজিস আলম সাফ জানিয়েছেন, সেনাপ্রধানকে সরানোর কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমশ বাড়ছে। সেনাবাহিনী আদৌ কোনো পদক্ষেপ নেয় কি না, বা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন সবার নজরে।