ফের রক্ত ঝরছে বাংলাদেশে, এবার শিক্ষাঙ্গন রক্তাক্ত!

মাইকিং করে কলেজটিতে এই ভাঙ্গচুর চালানো হয়।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
47b3108c-cf9d-48e0-a097-931966aa1842

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের তিনজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। পাশাপাশি নিহতদের মরদেহ কলেজে নাকি কোনো হাসপাতালে, তা নিয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও দাবি কলেজটির। 

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কলেজের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। তাতে তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ সামীর বিজ্ঞপ্তি ও নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ce4593f9-50d4-4fc2-aca2-6f7c7fd3225c

এদিকে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগে রবিবার সংঘর্ষে জড়ান বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ন্যাশনাল মেডিকেল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালানো হয়। ওই ঘটনার জবাব দিতে রবিবারই ‘মেগা মনডে’ ঘোষণা করে ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে হাজারো শিক্ষার্থী ডেমরার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় হেঁটে।  এরপর ঢাকার মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে পৌঁছানোর পর সেখানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। 

0ae6495-ea95-4575-87fe-a6e017d9f01f

মাইকিং করে কলেজটিতে এই ভাঙ্গচুর চালানো হয়। বিভিন্ন টেলিভিশনের লাইভ ফুটেজে এই কলেজের কম্পিউটার, খাতাপত্র ইত্যাদি নিয়ে অনেককে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। তাদের বাধা দেওয়া বা রাস্তায় আটকাতে পুলিশ কিংবা অন্য কোনো নিরাপত্তা বাহিনীর তেমন কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। পুলিশ এ দাবি করলেও কার্যত ঘটনাস্থলে এই বক্তব্যের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ঘোষণার পর থেকে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।