হাইকোর্টের বেঞ্চ ইউনূস সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, কী ভিত্তিতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটক রাখা হয়েছে এবং কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে এর ব্যাখ্যা চেয়ে হলফনামা চাওয়া হয়েছে। সন্ন্যাসীর জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার আদালতে সওয়াল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীরা আদালতে জানান, ত্রাসের দেশ বাংলাদেশে দুর্গত সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানো সন্ন্যাসীকেই অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা আদালতে তুলে ধরেন, তিন মাস ধরে বিনা বিচারে জেলে বন্দি রয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এবং তাঁর পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবীরা হামলা ও হুমকির শিকার হয়েছেন। আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য আদালতের কাছে প্রশ্ন তোলেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ যদি না থাকে, তাহলে তাঁকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হলো? তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র একজন বিএনপি নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে কীভাবে সন্ন্যাসীকে আটক করা হল?
গত ২২ নভেম্বর রংপুরে সংখ্যালঘু হিন্দুদের এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তার তিন দিন পর, ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাঁর জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। তবে সেই থেকেই বারবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে জামিন শুনানি। তিন মাস ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারকে হলফনামার মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেওয়া হবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনো ঘোষণা করা হয়নি।