নিজস্ব সংবাদদাতা: বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত বুলগেরিয়ান অন্ধ ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই সত্য হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তার ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর মধ্যে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পূর্বাভাসও ছিল। তবে, তার করা আরও একটি বড় ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বাবা ভাঙ্গা দাবি করেছিলেন যে ২০৪৩ সালের মধ্যে ইউরোপের ৪৪টি দেশ ইসলামিক শাসনের অধীনে আসবে এবং মুসলমানরা পুরো মহাদেশে আধিপত্য বিস্তার করবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ইউরোপের প্রধান ধর্ম হিসেবে খ্রিস্টধর্মের জায়গা নেবে ইসলাম। তিনি আরও বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে ইউরোপে সাংস্কৃতিক সংঘাত শুরু হতে পারে, যা দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।
/anm-bengali/media/media_files/lerw7tqWahrEZRhtCVpb.jpeg)
বাবা ভাঙ্গা আরও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে ২০২৫ সালের মধ্যে ইউরোপের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমবে পরিবেশগত সংকট ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। যদিও আমরা ২০২৫ সালে প্রবেশ করেছি, এখনও ইউরোপের জনসংখ্যা সংকটের তেমন দৃশ্যমান প্রমাণ নেই। ফলে, এই ভবিষ্যদ্বাণী কতটা নির্ভরযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে এও বলা হয়েছে, আগামী ৩৫ বছরে বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ৩ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। গবেষকরা বলছেন, ২০৬০ সালের মধ্যে ইসলাম খ্রিস্টধর্মকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মে পরিণত হতে পারে। তবে এই সবই এখন তর্ক-বিতর্কের মধ্যে রয়েছে। বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী কতটা পূরণ হয়, আদৌ পূরণ হয় কিনা তা জানার জন্যে অপেক্ষা করতেই হবে।