নিজস্ব সংবাদদাতা: জর্ডানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরব কূটনীতিকদের একটি দল রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সাথে দেখা করেছে এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার এবং গাজাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাহায্যের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরব কূটনীতিকরা রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে বলেন, জেরুজালেমে মুসলিম বা খ্রিস্টানদের পবিত্রতা লঙ্ঘন হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। ফিলিস্তিনি অধিকার সমর্থকরা মুসলিম পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাতে পারে। জর্ডানের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে কূটনীতিকরা রাফাতে ইজরায়েলি হামলার "অত্যন্ত বিপজ্জনক" পরিণতি হতে পারে বলে রাষ্ট্রসংঘকে সতর্ক করেছিলেন। অন্যদিকে, ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস-এর তরফে জানানো হয়েছে, গাজায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত। তাঁরা পালিয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। সামান্য ত্রাণের ওপর তাঁদের দিন কাটছে । দুই দেশের সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তার জেরে ত্রাণ পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটছে।
ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর পরিচালক সামান্থা পাওয়ার বলেছেন যে গত সপ্তাহে মাত্র ৮৫টি ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিল, ইজরায়েলের হামলার আগে আগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০টি ট্রাক ত্রাণ নিয়ে যেত। গাজা জুড়ে মানবিক সঙ্কট দেখতে পাওয়া গিয়েছে। আমেরিকা গাজায় যাতে আরও ট্রাক প্রবেশ করতে পারে, সেই বিষয়ে ইজরায়েলকে চাপ দিতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ইজরায়েল এই চাপ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, আমেরিকা ইজরায়েলকে ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।