নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের চরম পরিস্থিতির পেছনে আমেরিকা যোগ? এবার একটি বড় তথ্য সামনে আনলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
তিনি বলেছেন, "বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এই অবস্থার মধ্যে মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার সমর্থকেরা মৌলবাদীদের ব্যবহার করে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে মুসলমানদের প্রকৃত অবস্থার দিক থেকে তাদের মনোযোগ সরিয়ে রাখতে চান। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ইউনুসের সরকার অসাংবিধানিক হলেও তিনি ক্ষমতা ধরে রেখেছেন দায়িত্বহীনভাবে। এই দায়িত্বহীন ক্ষমতার ফলে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে, যেখানে বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠন তাকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যদি তিনি আমেরিকার কাছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ দিয়ে দিতেন, তাহলে দেশের কোনো অশান্তি হতো না। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষণ নিয়ে যে নাটক সাজানো হয়েছিল, তার আসল উদ্দেশ্য ছিল জামাতের সহায়তায় মৌলবাদীদের হিন্দু নিধন চালানো। এই ঘটনাগুলোর পেছনে আমেরিকার ডিপ স্টেট এবং জর্জ সরোসের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এই একই গোষ্ঠী ভারতেও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে FDL-AP নামক সংগঠনে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ভারত সরকারের পতন ঘটানো এবং কাশ্মীরকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া, যেখানে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর নামও আলোচিত। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও চিত্র আলাদা নয়। ২০১১ সালের বিধানসভার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। US Consular-এর সাথে মমতার বৈঠকের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পাশের দেশের অশান্তি দেখে চুপ করে বসে থাকা বোকামি হবে, কারণ এই একই দেশবিরোধী শক্তি ভারতেও অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিপিন রাওয়তের 2.5 ফ্রন্ট যুদ্ধের তত্ত্ব বাস্তবায়নের কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। ভারতের বাইরে যেমন শত্রু রয়েছে, তেমনি দেশের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী সক্রিয়। বিশ্ব নাগরিক চীনের দালাল বামপন্থীরা, কংগ্রেসের নেতৃত্বের ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ, এবং তৃণমূলের মতো দল জামাতের পৃষ্ঠপোষক হয়ে ভারতকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এই ষড়যন্ত্রকারী শক্তিগুলো থেকে সচেতন থাকা এবং তাদের বিরোধিতা করা সময়ের দাবি। দেশকে রক্ষা করার জন্য সকল দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন"।