নিজস্ব সংবাদদাতা: শেখ হাসিনার পতনের পর নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশিরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলেও অরাজক বাংলাদেশে শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। এরমধ্যেই সোনার বাংলাদেশের হতশ্রী অবস্থা এসেছে প্রকাশ্যে। কোথাও ভাঙ্গা হয়েছে মুজিবরের মূর্তি আবার কোথাও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবক্ষ মূর্তি। বিভিন্ন স্থানে চালানো হচ্ছে লুটপাট অবাধে চলছে ডাকাতি। জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি। মন্দির থেকে মাজার সর্বত্র আগুন জ্বলছে।
একশ্রেণীর মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সাম্প্রদায়িক হামলার। ধর্মভীরুদের হাত থেকে এবার রেহাই মিললো না সমাজ পথিক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের। দুই দেশের জাতীয় সম্পদ লালন ফকিরকেও ছাড়া হল না। বর্ণপরিচয়ের পাঠ দান করানো বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলা হল এবার।
একই সঙ্গে ফরিদপুরে লালন ফকিরের নামাঙ্কিত লালন আনন্দ ধাম ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। এখানে থাকা লালন ফকিরের ছবি গ্রন্থ একতারা দোতারা গিটার সহ আরো বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। হামলাকারীরা প্রত্যেকেই মৌলবাদী গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশকে জানানো সত্বেও কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও পুলিশের দাবি এই ব্যাপারে আগে কিছু জানানো হয়নি। নইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হত। পদ্মা পাড়ের বাংলাদেশে মনীষীদের এই করুণ পরিণতি দেখে বাকরুদ্ধ এপারের বাঙালিরা।