নিজস্ব সংবাদদাতা: নয় মাসের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, অবশেষে পৃথিবীতে ফিরছেন নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটানো মানুষের শরীর ও মনে গভীর প্রভাব ফেলে। সাধারণত ISS মিশন ছয় মাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু সুনীতা ও বুচকে প্রায় নয় মাস মহাকাশে থাকতে হয়েছে, যা গবেষকদের জন্য নতুন গবেষণার সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু অন্যদিকে, এই ৯ মাস তাঁদের শরীরে একাধিক প্রভাব ফেলেছে।
শারীরিক প্রভাব:
১) হাড় ও পেশির ক্ষয়: প্রতি মাসে মহাকাশচারীরা ১-২% হাড়ের ঘনত্ব হারান, পেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
২) হৃদযন্ত্র ও রক্তসঞ্চালন: মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণের অভাবে হৃদযন্ত্র কম পরিশ্রম করে, ফলে ফিরে আসার পর স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে।
৩) পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের বাইরে থাকার ফলে নভোচারীরা মহাজাগতিক রশ্মি ও সৌর বিকিরণের শিকার হন, যা ক্যান্সার ও স্নায়বিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/18/4sVEEAAqg9ZywmLdzREc.jpg)
মানসিক প্রভাব:
১) দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকায় মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও ঘুমের সমস্যা বাড়ায়।
২) মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে দেখার অভিজ্ঞতা অনেক নভোচারীর মধ্যে একটি গভীর মানসিক পরিবর্তন আনে, যা ফিরে আসার পর বাস্তব জীবনে খাপ খাওয়াতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
৩) মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটানোর পর হাঁটাচলা, ভারসাম্য রক্ষা ও দৈনন্দিন কাজ পুনরায় শিখতে হয়, যা মানসিক ও শারীরিকভাবে সমস্যা তৈরি করে।