আদানি মামলা: কেন হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের চেয়েও বেশি গুরুতর এই মামলা?

গত বছর ২৫ জানুয়ারী প্রথম হিন্ডেনবার্গের রিসার্চটি প্রকাশ্যে আসে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
goutam adani

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় ২২ মাস পরে আদানি গোষ্ঠী হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের কাছ থেকে ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির অভিযোগের সম্মুখীন হওয়ার পর গৌতম আদানি এবং তাঁর সংস্থা বড় ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের ধাক্কা খেয়েছে। মার্কিন আদালত তাঁকে এই জন্যে দোষী সাব্যস্ত করেছে। 

ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট, ব্রুকলিন-এ দায়ের করা নতুন অভিযোগগুলি অনেক বেশি গুরুতর কারণ সেখানে এই সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি পেশ করা হয়েছে। যাতে গৌতম আদানিকে দোষী সাব্যস্ত করা সহজ হয়েছে। তবে হিন্ডেনবার্গ মামলাটি মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক শর্টসেলার দ্বারা কথিত স্টক ম্যানুপুলেশন, সংশ্লিষ্ট পক্ষের লেনদেন এবং স্টক ম্যানুপুলেশনের অভিযোগের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা মোটেই নয়। 

adani summit.jpg

গত বছর ২৫ জানুয়ারী প্রথম হিন্ডেনবার্গের রিসার্চটি প্রকাশ্যে আসে। সেখানেই আদানি গোষ্ঠীর জালিয়াতির চিত্র তুলে ধরেছিল ওই সংস্থা। যার জেরে সেই সময় আদানি গোষ্ঠীর ওপর এই রিপোর্ট বিরূপ প্রভাব ফেলেছিল। কমেছিল কোম্পানির শেয়ার। এতোটাই কমেছিল তার পরিমাণ, যে গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানির নিয়ন্ত্রিত মরিশাস সত্তা তাঁকে প্রায় ১,১৭১ কোটি টাকা ধার দেয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্যে। 

আর এখান থেকেই শুরু হচ্ছে আদানি মামলার বীজপোঁতা। গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অফশোর সংস্থাগুলি আদানি গ্রুপের কোম্পানি কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ৬৮০ কোটি টাকার হীরা ব্যবসার কেলেঙ্কারি এবং ৩,৯৭৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ উৎপাদন; যার মধ্যে রয়েছে ইনভয়েসিং, কেলেঙ্কারি, হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ। 

adani rahu coal.jpg

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালত পাঁচ কাউন্টের ফৌজদারি অভিযোগ প্রত্যক্ষ করেছে। যেখানে আদানি গ্রীন এনার্জির নির্বাহী গৌতম এস আদানি, সাগর আর আদানি এবং ভনীত এস জৈনকে সিকিউরিটিজ এবং ওয়্যার জালিয়াতি এবং প্রকৃত সিকিউরিটিজ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তহবিল পাওয়ার জন্য যে জালিয়াতির পথে আদানি গোষ্ঠী হেঁটেছে তাই প্রকাশ্যে চলে এসেছে এই মামলার মাধ্যমে। আর এই মামলার সূত্রপাত হয়েছিল সেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টের সূত্র ধরেই।