হামলার ১০০ দিন, নিহত প্রায় ২৪,০০০ জন নাগরিক

রবিবার গাজায় হামলার ১০০ দিন পূর্ণ হল। ইজরায়েলের ক্রমাগত হামলার ফলে গাজায় মোট ২৪,০০০ জন নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলের ওপর হামলা করে। তারই পাল্টা ইজরায়েল গাজার ওপর হামলা চালায়।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
gaza children (1).jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার গাজার ওপর ইজরায়েলের হামলার ১০০ দিনের পূর্ণ হল।  ১০০ দিন টানা গাজার ওপর ইজরায়েল হামলা চালিয়ে গিয়েছে।  হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৪,০০০ জন।  ইজরায়েল  ৬৫,০০০ টনেরও বেশি বোমা ফেলেছিল এবং গাজার ২.৩ মিলিয়ন মানুষ ইজরায়েলের হামলার সময় ৪০০ বর্গ কিলোমিটারেরও কম জায়গায় আটকে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। 

৭ অক্টোবর হামাস গোষ্ঠী ইজরায়েলের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ করে। ঘটনার জেরে ইজরায়েলের প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন। ইজরায়েলের ২৪০ জনকে বন্দি করেছিলেন। তাঁদের  হামাস গাজায় নিয়ে এসেছিল। পাল্টা ইজরায়েল গাজার ওপর হামলা শুরু করে। গাজায় হামলা শুরুর সময় ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, "আমরা মানববেশী পশুদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। খাদ্য, জল, জ্বালানী, ওষুধ কিছু গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।" গাজায় হামলার পর থেকে ইজরায়েলকে বহুবার আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর থেকে অনুরোধ করা হয়। ইজরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ নেহাত কম ছিল না। তারপরেও ইজরায়েল গাজার ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছিল।  একের পর এক হামলায় গাজাকে ইজরায়েল ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। গাজার গ্রাম থেকে শহর, স্কুল থেকে হাসপাতাল কোনও জায়গায় হামলা করতে বাদ রাখেনি ইজরায়েল। 

বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার বিচার শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে এই বিচার করেন। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করার পরেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "আমাদের কেউ থামাতে পারবে না। এমনকী হেগও নয়।" ইজরায়েল বার বার দাবি করেছে, এই হামলায় তারা গাজার কোনও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করছে না বা নিশানা করছে না। কিন্তু গণমাধ্যমে ইজরায়েলের সেনাদের হাতে গাজায় সাধারণ মানুষকে হত্যার ছবি বার বার প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। 

ইজরায়েলি বিমান বাহিনীর প্রধান ওমর টিশলার, ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল বলেছিলেন,  ১১ অক্টোবর বোমা বিস্ফোরণ অভিযানটি পুরো জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে করা হয়েছিল।  সেখান এক বা দুই "হামাস কমান্ডার"-র লুকিয়ে ছিল বলে তাঁদের কাছে খবর ছিল। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী শরণার্থী শিবিরগুলোকেও নিজেদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। যার জেরে ইজরায়েলকে আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে।  তবে তাতে ইজরায়েল হামলা চালায়নি। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী রবিবার জানিয়েছেন, এই হামলা অব্যাহত থাকবে।