নিজস্ব সংবাদদাতা: ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অবরুদ্ধ হাসপাতালে ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ছয়দিন ধরে গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে তল্লাশি চালায়। এর আগে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী কামাল আদওয়ান জানান, ইজরায়েলি বুলডোজারের জেরে ফিলিস্তিনি রোগীরা আহত হয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের পিষে মেরেছে। এই বিষয়ে তদন্তের দাবি করেন তিনি।
ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে পাওয়া অস্ত্রের ভিডিওও প্রকাশ করেছে ইতিমধ্যে। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করে, অস্ত্রগুলি প্রমাণ করে যে হামাস হামলা চালানোর জন্য হাসপাতাল ব্যবহার করেছিল। ইজরায়েল বারবার হামাসের বিরুদ্ধে "মানব ঢাল" হিসাবে হাসপাতালগুলোকে ব্যবহার করছে। যদিও হামাস ইজরায়েলের আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, ইজরায়েলকে প্রমাণ করতে হবে, চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে আক্রমণ করলে হামাস আরও বড় ধরনের আক্রমণ করত। ইজরায়েল গাজার একাধিক হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। যার জেরে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিসেবা ব্যাপকভাবে ব্যহত হয়। গাজার চিকিৎসা পরিসেবা বেশিরভাগটাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হুয়ের ত্রাণের ওপর নির্ভর করছে।
তবে গাজার তরফে জানানো, কাতারের সহযোগিতায় যুদ্ধবিধস্ত এলাকায় হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, কাতারের সহযোগিতায় গাজায় একটি হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। পিআরসিএসের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ গাজার হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পরিসেবা ওই হাসপাতালের মাধ্যমে করা হবে। পাশাপাশি অস্ত্রোপচারে মতো সুবিধা হাসপাতালে থাকবে বলে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ৫০টি শয্যা, একটি অপারেটিং রুম এবং একটি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। PRCS মেডিক্যাল টিম হাসপাতাল পরিচালনা ও পরিচালনা করবে।
অন্যদিকে, গাজার তরফে জানানো হয়েছে ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েল হামলা করা হয়েছে। ঘটনায় ১৮ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। প্রায় আট হাজার গাজার নাগরিক নিখোঁজ। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, নিখোঁজদের ৭০ শতাংশ মহিলা ও শিশু।