নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্রাফিক বিধি লঙ্ঘন করার জন্য ফ্রান্সের নান্তেরে শহরে এক আফ্রিকান কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৭ বছরের ওই কিশোরকে হত্যার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স। এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার মৃত কিশোরের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশের আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল মৃতের পরিবারের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মৃত আলজেরিয়ান এবং মরোক্কান বংশোদ্ভূত কিশোরের নাম নাহেল এম। গত মঙ্গলবার প্যারিসের পশ্চিম উপকণ্ঠে অবস্থিত নান্তের শহরে ট্রাফিক স্টপে গুলিবিদ্ধ হয় নাহেল। এই ঘটনায় যে পুলিশ অফিসারের নাম জড়িয়েছে, তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার পর ফ্রান্স জুড়ে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিছু জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা হয়েছে। এই ঘটনার রেশ ছড়িয়েছে ফ্রান্সের বড় শহরগুলিতেও। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, বিক্ষোভ দেখানোর জন্য এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
/anm-bengali/media/post_attachments/pq9kWO87kKTERQyNx3bY.jpeg)
জানা গিয়েছে যে, নাহেল ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে পুলিশ তাকে বাধা দেয় এবং গুলি চালায়। গুলি নাহেলের বাঁ হাতে এবং বুকে লাগে। ফলে তাঁর সেখানেই মৃত্যু হয়। যে পুলিশ অফিসার গুলি চালিয়েছে, সে জানায়, পথচারীরা যাতে আহত না হয়, সেই জন্য ভয় পেয়ে সে গুলি চালায়। এই কথা সে পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছেও জানিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ আরও জানায়, নাহেল এর আগেও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
এই গুলি চালানোর ঘটনার পর থেকেই সারা শহর জুড়ে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রায় ৪০ হাজার পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
/anm-bengali/media/post_attachments/kfRRABakG3DnipCzbT0F.jpg?c=16x9&q=h_720,w_1280,c_fill)
মধ্য প্যারিসের একটি জুতোর দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়। সেই অপরাধে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্যারিস পুলিশ জানিয়েছে, রিভোলি শপিং স্ট্রিট থেকে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন জিনিস চুরির অপরাধে। যেখানে ওই আফ্রিকান কিশোরকে গুলি করা হয়েছিল, সেখানেই বিক্ষোভকারীরা একের পর এক গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। রাস্তায় ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খণ্ড যুদ্ধ চলছে।